প্রতি বছর জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রাদেবীকে জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বাইরে আনা হয়, তাঁদের রথে বসানো হয় এবং ভক্তেরা রথ টেনে গুণ্ডিচা মন্দির পর্যন্ত নিয়ে যান। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক ভক্ত ওড়িশার পুরী শহরে এসে রথযাত্রা উৎসবে সম্মিলিত হন। এই উৎসবের উৎপত্তি, তথা জগন্নাথের মন্দির এবং বিগ্রহের সঙ্গে বহু আশ্চর্যজনক ঘটনা ও কিংবদন্তী জড়িত রয়েছে। আজ আমরা জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার রথ সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য জেনে নেব।
জগন্নাথের রথের বিবরণ
রথের নাম: নন্দীঘোষ / গরুড়ধ্বজ / কপিধ্বজ
রথের রং: লাল ও হলুদ
রথের মোট চাকার সংখ্যা: ১৬
চাকার ব্যাস: ৭ ফুট
ব্যবহৃত কাঠের টুকরোর সংখ্যা: ৮৩২
রথের উচ্চতা: ১৩.৫ মিটার (৪৫ ফুট)
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৩৪.৬ ফুট
রক্ষক: গরুড় / নৃসিংহ
দ্বাররক্ষক: জয় ও বিজয়
সারথি: দারুক
পতাকার নাম: ত্রৈলোক্য মোহিনী
রথের অস্ত্র: শঙ্খ ও চক্র
রথের শক্তি: বিমলা ও বিরজা
ঘোড়ার সংখ্যা: ৪
ঘোড়ার নাম: শঙ্খ, বলাহক, শ্বেত, হরিদ্বাশ
ঘোড়ার রং: সাদা
দড়ির নাম: শঙ্খচূড়
রথের মুখ: নন্দী মুখ
নবদেবতা: বরাহ, গোবর্ধন, কৃষ্ণ, নৃসিংহ, রাম, নারায়ণ, ত্রিবিক্রম, হনুমান, রুদ্র
ঋষি: নারদ, দেবল, ব্যাস, শুক, পরাশর, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, রুদ্র
রথের রং: লাল ও হলুদ
রথের মোট চাকার সংখ্যা: ১৬
চাকার ব্যাস: ৭ ফুট
ব্যবহৃত কাঠের টুকরোর সংখ্যা: ৮৩২
রথের উচ্চতা: ১৩.৫ মিটার (৪৫ ফুট)
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৩৪.৬ ফুট
রক্ষক: গরুড় / নৃসিংহ
দ্বাররক্ষক: জয় ও বিজয়
সারথি: দারুক
পতাকার নাম: ত্রৈলোক্য মোহিনী
রথের অস্ত্র: শঙ্খ ও চক্র
রথের শক্তি: বিমলা ও বিরজা
ঘোড়ার সংখ্যা: ৪
ঘোড়ার নাম: শঙ্খ, বলাহক, শ্বেত, হরিদ্বাশ
ঘোড়ার রং: সাদা
দড়ির নাম: শঙ্খচূড়
রথের মুখ: নন্দী মুখ
নবদেবতা: বরাহ, গোবর্ধন, কৃষ্ণ, নৃসিংহ, রাম, নারায়ণ, ত্রিবিক্রম, হনুমান, রুদ্র
ঋষি: নারদ, দেবল, ব্যাস, শুক, পরাশর, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, রুদ্র
বলরামের রথের বিবরণ
রথের নাম: তালধ্বজ
রথের রং: লাল ও সবুজ
রথের মোট চাকার সংখ্যা: ১৪
চাকার ব্যাস: ৬.৬ ফুট
ব্যবহৃত কাঠের টুকরোর সংখ্যা: ৭৬৩
রথের উচ্চতা: ১৩.২ মিটার (৪৪ ফুট)
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৩৩ ফুট
রক্ষক: বাসুদেব
দ্বাররক্ষক: নন্দ ও সুনন্দ
সারথি: মাতলি
পতাকার নাম: যুনানি
রথের অস্ত্র: হল ও মুসল
রথের শক্তি: ব্রহ্মা ও শিব
ঘোড়ার সংখ্যা: ৪
ঘোড়ার নাম: তীব্র, ঘোর, দীর্ঘাশ্রম ও স্বর্ণনাভ
ঘোড়ার রং: কালো
দড়ির নাম: বাসুকী নাগ
রথের মুখ: কেতুভদ্র
নবদেবতা: গণেশ, কার্তিকেয়, সর্বমঙ্গলা, প্রলংবরী, হলযুদ্ধ, মৃত্যুঞ্জয়, নাটম্ভরা, মুক্তেশ্বর ও শেষদেব
ঋষি: অঙ্গিরা, পুলস্য, পুলহ, কৃষ্ণ, মুদ্গল, আসষ্ঠী, অত্রেয় ও কাশ্যপ
রথের রং: লাল ও সবুজ
রথের মোট চাকার সংখ্যা: ১৪
চাকার ব্যাস: ৬.৬ ফুট
ব্যবহৃত কাঠের টুকরোর সংখ্যা: ৭৬৩
রথের উচ্চতা: ১৩.২ মিটার (৪৪ ফুট)
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৩৩ ফুট
রক্ষক: বাসুদেব
দ্বাররক্ষক: নন্দ ও সুনন্দ
সারথি: মাতলি
পতাকার নাম: যুনানি
রথের অস্ত্র: হল ও মুসল
রথের শক্তি: ব্রহ্মা ও শিব
ঘোড়ার সংখ্যা: ৪
ঘোড়ার নাম: তীব্র, ঘোর, দীর্ঘাশ্রম ও স্বর্ণনাভ
ঘোড়ার রং: কালো
দড়ির নাম: বাসুকী নাগ
রথের মুখ: কেতুভদ্র
নবদেবতা: গণেশ, কার্তিকেয়, সর্বমঙ্গলা, প্রলংবরী, হলযুদ্ধ, মৃত্যুঞ্জয়, নাটম্ভরা, মুক্তেশ্বর ও শেষদেব
ঋষি: অঙ্গিরা, পুলস্য, পুলহ, কৃষ্ণ, মুদ্গল, আসষ্ঠী, অত্রেয় ও কাশ্যপ
সুভদ্রার রথের বিবরণ
রথের নাম: দেবদলন / দর্পদলন / পদ্মধ্বজ
রথের রং: লাল ও কালো
রথের মোট চাকার সংখ্যা: ১২
চাকার ব্যাস: ৬ ফুট
ব্যবহৃত কাঠের টুকরোর সংখ্যা: ৫৯৩
রথের উচ্চতা: ১২.৯ মিটার (৪৩ ফুট)
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৩১.৬ ফুট
রক্ষক: জয়দুর্গা
দ্বাররক্ষক: গঙ্গা ও যমুনা
সারথি: অর্জুন
পতাকার নাম: নাদম্বিকা
রথের অস্ত্র: ভুবনেশ্বরী ও চক্র
রথের শক্তি: ব্রহ্মা ও শিব
ঘোড়ার সংখ্যা: ৪
ঘোড়ার নাম: রোচিকা, মোচিকা, জিতা ও অপরাজিতা
ঘোড়ার রং: লাল
দড়ির নাম: স্বর্ণচূড়
রথের মুখ: ভক্তি, সুমেধ, চামর ও হস্ত
নবদেবতা: হরচণ্ডী, চামুণ্ডা, উগ্রতারা, বনদুর্গা, ভুবনেশ্বরী, জয়দুর্গা, বারাহী, সর্বমঙ্গলা ও বিমলা
ঋষি: ভৃগু, সুপ্রভা, বজ্র, ধ্রুব, শৃঙ্গী ও উলুক
রথের রং: লাল ও কালো
রথের মোট চাকার সংখ্যা: ১২
চাকার ব্যাস: ৬ ফুট
ব্যবহৃত কাঠের টুকরোর সংখ্যা: ৫৯৩
রথের উচ্চতা: ১২.৯ মিটার (৪৩ ফুট)
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: ৩১.৬ ফুট
রক্ষক: জয়দুর্গা
দ্বাররক্ষক: গঙ্গা ও যমুনা
সারথি: অর্জুন
পতাকার নাম: নাদম্বিকা
রথের অস্ত্র: ভুবনেশ্বরী ও চক্র
রথের শক্তি: ব্রহ্মা ও শিব
ঘোড়ার সংখ্যা: ৪
ঘোড়ার নাম: রোচিকা, মোচিকা, জিতা ও অপরাজিতা
ঘোড়ার রং: লাল
দড়ির নাম: স্বর্ণচূড়
রথের মুখ: ভক্তি, সুমেধ, চামর ও হস্ত
নবদেবতা: হরচণ্ডী, চামুণ্ডা, উগ্রতারা, বনদুর্গা, ভুবনেশ্বরী, জয়দুর্গা, বারাহী, সর্বমঙ্গলা ও বিমলা
ঋষি: ভৃগু, সুপ্রভা, বজ্র, ধ্রুব, শৃঙ্গী ও উলুক